রমজান মাসে কারো পরিবর্তন দেখে হাসি-ঠাট্টা না করি। কারন রমজান মাস আসেই আমাদের পরিবর্তনের জন্য। সংশোধনের জন্য। আমাদের যার ঈমান-আমল যে লেভেলেই থাকুক না কেন। তা থেকে উত্তরণের মাস এটি। রমজানে যার ঈমানের কোনরকম উত্তরণ নেই। যার মধ্যে বিন্দুমাত্র কোন পরিবর্তন নেই। সে নিতান্তই হতভাগা।
মাহে রমজান নাজাতের মাস। তাই অন্যের পরিবর্তনে হাসি-ঠাট্টা না করে। নিজেকে গুনাহগার ও ক্ষতিগ্রস্ত ভেবে। এই মাসে আল্লাহর কাছে নাজাতের দোয়া চাই। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, “প্রত্যেক আদম সন্তান গুনাহগার। আর গুনাহকারীদের মধ্যে সর্বোত্তম হচ্ছে তওবাকারীগণ” (সুনানে তিরমিজি -২৪৯৯)। তিনি আরো বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর কাছে তওবাহ ও ইস্তিগফার করো। নিশ্চয়ই আমি দিনে একশবার তওবা করি’ (সহিহ মুসলিম-২৭০২)।
মাহে রমজান কোরআন নাজিলের মাস। আল্লাহ আমাদেরকে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করার তাওফিক দান করুন। কোরআনের অর্থ বুঝে পড়ার তাওফিক দান করুন। কোরআন নাজিলের মাসে কোরআন হোক আমাদের নিত্য সঙ্গি। পুরো মাসটা হোক কোরআনময়।
‘তারাবীহ ২০ রাকাত, নাকি ৮ রাকাত। একই দিনে চাঁদ, একই দিনে ঈদ’- এইসব অযথা বিতর্ক পরিহার করে আল্লাহর রহমত অন্বেষণে মূল্যবান সময়গুলোকে ব্যয় করি।
একে অন্যের জন্য দোয়া করি। একে অন্যকে দয়া করি। একে অন্যকে ক্ষমা করি। টেবিল ভর্তি বাহারি ইফতারির আয়োজন করতে গিয়ে গৃহিণী ও গৃহকর্মীদের ইবাদতের সময়টাকে নষ্ট না করি। সবাই রোজা থাকে। তাই অধীনস্থদের কাজের ভার লাঘবের চেষ্টা করি। সার্বক্ষনিক হাসিমুখে থাকাটাও রমজানের অন্যতম আমল।
ইবাদতের বসন্ত এই মাস আমাদের মৃত রূহে প্রাণের সঞ্চার করুক। যতটা সম্ভব নিজেকে পরিবর্তন করি। যতটা পারি ঈমানের উত্তরণ করি। পাপ থেকে সরে থাকি। রব্বের সাথে জুড়ে থাকি।
Md Asraful
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?